নেপালের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো বাংলাদেশের। প্রথমার্ধে নেপাল ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের হয়ে একটি গোল শোধ করেন মাহবুবুর রহমান। নেপালের হয়ে দুটি গোল করেন সংযোগ রায় ও বিশাল রায়।
২০০৩ সালে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। তখন থেকে অধরা ছিল শিরোপা। আজ সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া হলো।
প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে থাকা নেপাল ঠান্ডা মাথায় খেলে যাচ্ছিল। ১২তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে একটি ক্রস ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি ত্রিদেব গুরাং। পরে বল বিপমুক্ত করেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান রাফি। পাঁচ মিনিট পর নেপালের দারুণ একটি সুযোগ কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
তবে কর্নার থেকে পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। রাকিব হোসেন বল পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন। ফিরতি শটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল জালে পাঠান অরক্ষিত সংযোগ। ২৮তম মিনিটে প্রথম কর্নার পায় বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার নেওয়া কর্নারে ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি কেউ।
৩০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত নেপাল। তবে তা মিস হয়ে যায়। সমতায় ফিরতে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে বাংলাদেশ।
৩৬তম মিনিটে জামালের ফ্রি-কিকে মেহেদী হাসানের হেড পোস্টের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। উল্টো পাঁচ মিনিট পর আরেক গোল হজম করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের সুমন রেজা, রিমন হোসেন ও মেহেদী হাসান রয়েলের জায়গায় যথাক্রমে টুটুল হোসেন বাদশা, ইয়াসিন আরাফাত ও মাহবুবুর রহমান সুফিলকে নামান বাংলাদেশ কোচ।
অবশ্য এ পরিবর্তনে ফলও পায় বাংলাদেশ। ৬৭তম মিনিটে ইয়াসিনের দূরপাল্লার শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। চাপ ধরে রেখে ৮২তম গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। জামালের কর্নারে হেড করে সুফিল ভেদ করেন নিশানা। আসরে এটাই বাংলাদেশের প্রথম গোল।
বাকি সময়টাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। নেপালের সঙ্গে শেষ চার ম্যাচে এটি বাংলাদেশের প্রথম হার।